💚সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ দেশ । দেশটির আয়তন মাত্র ৭১৬ বর্গ কিলোমিটার । আয়তনে দেশটি বাংলাদেশের একটি বিভাগের সমপরিমাণ । সিঙ্গাপুরের অধিকাংশ মানুষ চায়না, সাউথ ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়া থেকে এসে বসবাস শুরু করেছিল । জাতিগত কারণে তাদের ঐক্যমতে পৌছাতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতো । সিঙ্গাপুর এমন একটি জাতি যারা স্বাধীনতা চান নি । মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী টেংকু আব্দুর রহমান সিঙ্গাপুরকে মালয়শিয়া থেকে আলাদা করে দেন । পৃথক হয়ে লি কুয়ান ইউ সিঙ্গাপুরকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন । তার বিচক্ষনতায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে সিঙ্গাপুর । বর্তমানে সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । সাগর বেস্টিত দেশটি মৎস আহরণ, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও পণ্য পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম । সিঙ্গাপুরের কঠোর নিয়ম ও আইনের কারণে নারীরা এখন নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে পারে । নিজ দেশকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেও রয়েছে তাদের বিশেষ আইন । নাগরিক সুবিধা, শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সিঙ্গাপুর আজ বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশ ।
✍️আবেদনকারীর জন্য বাধ্যতামূলক কাগজপত্রের তালিকা:
১. আবেদনকারীর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের (৩৫/৪৫ মিলিমিটার) সাইজের দুই কপি ছবি ল্যাব থেকে প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে । ছবির চারপাশে কোন বর্ডার থাকবেনা । চোখে চশমা ব্যবহার করে ছবি তুলা যাবেনা ও মাথায় কোন টুপি দেয়া যাবেনা । ছবিতে দুই কান স্পষ্ট দৃশ্যমান থাকতে হবে । অনুগ্রহকরে ছবি তুলার সময় সাদা শার্ট ও পাঞ্জাবি পরিধান করবেন না ।
২. আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ অবশ্যই সাত (০৭) মাসের বেশি থাকতে হবে । মেয়াদ উত্তীর্ণ সহ সকল পাসপোর্টের তথ্য পাতার প্রিন্ট কপি প্রদান করতে হবে। কোন পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়ে থাকলে জিডি কপি প্রদান করতে হবে ।
৩. অপ্রাপ্ত বয়স্ক আবেদনকারীর জন্মনিবন্ধন ইংরেজিতে অনুবাদ ও নোটারি করে জমা দিতে হবে । আর প্রাপ্ত বয়স্ক আবেদনকারীকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের স্পষ্ট প্রিন্ট কপি প্রদান করতে হবে ।
৪. আবেদনকারীর আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে জনপ্রতি এক-তিন লাখ (১-৩ লাখ) টাকার অধিক ব্যাংক ব্যলেন্স সহ তিন-ছয় (০৩-০৬) মাসের অরিজিনাল ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট/ক্রেডিট কার্ডের স্ট্যাটমেন্ট বা এফডিআরের মূল কপি ব্যাংকের সীল ও স্বাক্ষর সহ প্রদান করতে হবে ।
৫. ব্যাংকের সীল ও ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ ব্যাংক সলভেন্সির অরিজিনাল কপি প্রদান করতে হবে ।
৬. আবেদনকারীর পেশা বা কর্মপরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নিচের তথ্য ও প্রমাণপত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে ।
👍আবেদনকারী যদি চাকরিজীবী হয় তাহলে পেশা প্রমাণের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া এনওসির (NOC) মূল কপি জমা দিতে হবে । অফিস আইডি কার্ডের কালার প্রিন্ট কপি ও দুইটি ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে ।
👉আবেদনকারী যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের কপি ইংরেজিতে অনুবাদ ও নোটারি করে জমা দিতে হবে । দুইটি অফিসিয়াল লেটারহেড প্যাড সীল ও স্বাক্ষর সহ জমা দিতে হবে । সেই সাথে দুইটি ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে ।
👉আবেদনকারী যদি ছাত্র-ছাত্রী হয় তাহলে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটির আবেদন বা প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে । প্রতিষ্ঠান কতৃক প্রদানকৃত আইডি কার্ডের কালার প্রিন্ট কপি জমা দিতে হবে ।
👉অন্যান্য পেশায় যারা নিয়োজিত আছেন তারা তাদের পেশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে পারবেন । পেশার সাথে মিল রেখে আইডি ও ভিজিটিং কার্ড দিতে ভুলে যাবেন না ।
৭. আবেদনকারী যদি সিঙ্গাপুর থেকে কোন স্পন্সর লেটার বা আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে থাকেন তাহলে প্রেরকের পাসপোর্ট কপি ও আইডি কর্ডের কপি আবেদনের সাথে জমা দিতে ভুলবেন না ।
৮. পূর্বে সিঙ্গাপুর ভ্রমন করে থাকলে ভিসার কপি ও পাসপোর্টে দেয়া ইমিগ্রেশনের সীলের কপি দিতে ভুলে যাবেন না । এছাড়াও বিগত বছর গুলোতে যে সকল দেশ ভ্রমন করেছেন সেই সকল দেশের ভিসা কপি ট্রাভেল হিস্ট্রি হিসেবে আবেদনের সাথে অবশ্যই জমা দিতে ভুলবেন না ।
৯. আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় ও পাসপোর্টে স্ত্রীর নাম উল্লেখ না থাকে তাহলে স্ত্রীকে নিয়ে ভ্রমন করতে চাইলে মেরিজ সার্টিফিকেট অনুবাদ ও নোটারি করে জমা দিতে হবে ।
✍️অতিরিক্ত কাগজপত্রের তালিকা যেগুলো ভিসা আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান আবেদনকারীর পক্ষে প্রদান করবেন:
১. ভিসা অফিসার বরাবর একটি কভার লেটার প্রদান করবে । আবেদনকারী চাইলে নিজেও লিখে দিতে পারেন ।
২. রাউন্ড ট্রিপ এয়ার টিকেটের বুকিং কপি প্রদান করবে ।
৩. একটি হোটেল বুকিং কপি প্রদান করবে ।
৪. ভ্রমন পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি টুর প্ল্যান তৈরি করে আবেদনের সাথে জমা দিবেন ।
৫. অনলাইনে নির্ভুল ও সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন ফর্ম পূরণ করে ও পাসপোর্ট অনুযায়ী আবেদনকারীকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে ভিসা আবেদন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন ।
দৃষ্টি আকর্ষণ: ই-ভিসা প্রসেসিং হতে ৭-১২ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয় । যারা পূর্বে সিঙ্গাপুরে ওভারস্টে করেছেন, মামলায় শাস্তি পেয়েছেন, ট্রাভেল পাশ নিয়ে দেশে এসেছেন ও বিমানবন্দরে এন্ট্রি রিফিউজড হয়েছিলেন তারা অনুগ্রহকরে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়া ভিসা আবেদন করবেন না । তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দূতাবাস চাইলে আপনার সাক্ষাৎকার নিয়ে ভিসা প্রদান করতে পারে । কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । Click for Thailand Visa
হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)
Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de
Post a Comment