👲মেহেদি হাসান ইব্রাহিমের জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকার অদূরে খিলগাঁও থানার অন্তভূক্ত উত্তর মানিকদিয়ার ভাইগদিয়া গ্রামে । ভাইগদিয়া মোরে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই বাড়িটি দেখিয়ে দিবে । তার বাবার নাম আব্দুল করিম ও মাতার নাম মরিয়ম বিবি । তিনি স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি ও গুলশান ডিগ্রি কলেজ, বারিধারা, ঢাকা থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন । গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় হতাশ হয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন । তার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশি যারা দীর্ঘদিন দিন যাবত বিদেশে অস্থান করছেন তাদের পরামর্শে বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । ২০১৮-১৯ সালে অনেক দক্ষ শ্রমিক যেহেতু পোল্যান্ডে যাচ্ছিল সেহেতু তার এক চাচার পরামর্শে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন । আমরাও প্রশিক্ষণ সনদ ও কাজের ছবি গুলো কম্পানিতে প্রদান করি । কম্পানি সবকিছু যাচাই করে ওয়ার্ক পারমিট প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । আমরা তার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করি । সময় মতো ওয়ার্ক পারমিট আসলেও আমরা পোল্যান্ড ভিএফএসের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাচ্ছিলাম না । অবশেষে আমরা অধিক টাকা খরচ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সক্ষম হই । কিন্তু জমা দিতে পারলেও আমাদের ভিসা প্রদান করে নি ভিসা অফিসার । আমাদের কম্পানির যেহেতু লোক প্রয়োজন ছিল তাই কম্পানির মালিক নিজে নয়াদিল্লী চলে আসেন ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন । কিন্তু তাতেও ভিসা প্রদান করেনি পোল্যান্ড দূতাবাস । যে ছয় জনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া হয়েছিল কারো ভিসাই ইসু হয় নি নয়াদিল্লী থেকে । আমরা সবাই আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হই । চরম হতাশা হয়ে দেশে ফিরে আসি । আমাদের যেহেতু চেষ্টার কমতি ছিল না সেহেতু সবাই আমাদের উপর আস্থা রেখেছিল । অবশেষে কম্পানি আমাদেরকে অন্য কোন দেশ থেকে জমা দেয়ার পরামর্শ প্রদান করে । কম্পানির কথার ভিত্তিতে আমরা ছয়জনকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া চলে যাই । সেখানে তিন মাস অবস্থান করে সকল কাগজপত্র ঠিক করে পোল্যান্ড দূতাবাসে ফাইল জমা দেই । অবশেষে সফলতা আসতে শুরু করে । দ্বিতীয় সৌভাগ্যবান হিসেবে আমরা মেহেদি হাসান ইব্রাহিমের ভিসা সংগ্রহ করি । ইউরোপের নেশা যেহেতু তাকে বুদ করেছিল সেহেতু সেও আমাদের সকল সিদ্ধান্তে পাশে থেকেছে । তার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই যেহেতু ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল সেহেতু সেও ইউরোপকে তার ধ্যানজ্ঞান বানিয়ে ফেলেছিল । সবচেয়ে বড় বিষয় ছিলে আমাদের কাছে ফাইল জমা করার পূর্বে সে আরো কয়েক জায়গাতে জমা দিয়েছিল । তার ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল । আমরা তার কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শুনেছিলাম । কেউ কেউ তাকে লিবিয়া বা তিউনেশিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশের পরামর্শ দিয়েছিল । সে কথাও তিনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন । কিন্তু তার পরিবার তাকে যেতে দেয় নি । ভিসা পেয়েই সে বাড়িতে ফোন করে । আমরা তার রিটার্ন টিকিট করি । দেশে ফিরে সে নিয়ম অনুযায়ী ফিঙ্গার প্রিন্ট ও তিন দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে । বিএমইটি ভবন থেকে ম্যানপাওয়ার কার্ড সংগ্রহ করে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ত্যাগের প্রস্তুতি গ্রহণ করে ।
২০১৯ সালের ০৮ এপ্রিল কাতার এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে সে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সাথে একই ফ্লাইটে পোল্যান্ড চলে যায় । বর্তমানে সে পোল্যান্ডের প্লক শহরে কর্মরত আছে । ইতোমধ্যে সে রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে বাংলাদেশ থেকে ঘুরে গিয়েছে । আমাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে । আমরা তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি ও তার সুস্থতার জন্য দোয়া করি । আপনারা যারা প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে যেতে চান তারাও পরিবারের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন ও একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নেয়ার চেষ্টা করবেন ।
হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)
Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de
Post a Comment