👍 ইউরোপের প্রবেশ দ্বার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ তুরস্ক । দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত । তিনটি সাগর তুরস্ককে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে । কৃষ্ণ সাগর, এজিয়ান সাগর ও ভূমধ্যসাগর দেশটিকে ভৌগলিকভাবে সামরিক, অর্থনৈতি ও বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটি বর্তমান বিশ্বে একটি উদীয়মান পরাশক্তি । রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের দক্ষ নেতৃত্ব দেশটিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তুরস্কের রাজধাণী আঙ্কারা । কিন্তু তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুল । দেশটির আয়তন ৭,৮৪,০০০ বর্গকিলোমিটার ও ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ৮৬ মিলিয়ন । দেশটির মুদ্রার নাম লিরা । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক প্রতিবছর এই দেশটিতে ঘুরতে আসে । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি সকল ধর্মের মানুষকে তাদের দেশ ভ্রমনে সুযোগ দিয়ে থাকে । ই-ভিসা ও স্টিকার ভিসা নিয়ে খুব সহজেই একজন ভ্রমনকারী তুরস্ক ভ্রমন করতে পারে । বাংলাদেশি নাগরিকদের নানা অপরাধের কারণে বর্তমানে তুরস্ক বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে ভিসা ইসু করে থাকে । অটোমান ও বাইজেনটাইন সম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ সহ অনেক ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র এই দেশটিতে রয়েছে । কামাল আতাতুর্কের সমাধি, হায়া সফিয়া, বলু মস্ক, গ্র্যান্ড বাজার, গুহাবাসীর শহর সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো সারা বিশ্বের পর্যটকদেরকে তুরস্ক ভ্রমনে উৎসাহিত করে । কৃষি, পর্যটন ও খনিজ সম্পদে ভরপুর দেশটি আস্তে আস্তে তার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে । মানুষ হিসেবে তুরস্কের মানুষ অনেক অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুবৎসল । আপনারা যারা দেশটি ভ্রমন করতে আগ্রহী তারা আমাদের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে ঘুরে আসতে পারেন ।
✍️ তুরস্ক ভ্রমন ভিসার জন্য বাধ্যতামূলক কাগজপত্রের তালিকা:
১. আবেদনকারী সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের (২/২ সাইজ) তিন কপি ছবি প্রদান করবে । অবশ্যই ল্যাব থেকে প্রিন্ট করে জমা দিবেন । ছবির চারপাশে কোন বর্ডার থাকবে না । চোখে চশমা ও মাথায় টুপি দিয়ে ছবি তুলবেন না । দুই কান পর্যন্ত অবশ্যই দৃশ্যমান থাকতে হবে । সাদা শার্ট ও পাঞ্জাবি পরিধান করবেন না ।
২. আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ সাত (০৭) মাসের কম থাকা যাবে না । দূতাবাসে অরিজিনাল পাসপোর্ট ও তথ্য পাতার তিন সেট কালার প্রিন্ট কপি নিয়ে যেতে হবে । মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট সহ জমা দিতে হবে ।
৩. আবেদনকারীর জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও অরিজিনাল সাথে নিয়ে যেতে হবে ।
৪. ই-টিন সার্টিফিকেটের কালার কপি জমা দিতে হবে । আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া থাকলে তার কপি জমা দিতে হবে ।
৫. আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে দুই লাখ (৩,৫০,০০০) টাকার অধিক ব্যাংক ব্যলেন্স সহ ছয় (০৬) মাসের অরিজিনাল ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টের কপি/ক্রেডিট কার্ডের স্যাটমেন্টের কপি/ব্যাংক থেকে করা মাল্টিকারেন্সি কার্ডে ডলার এন্ডোর্সমেন্টের কপিও ব্যবহার করা যেতে পারে । পেশা অনুযায়ী সেলারী একাউন্টের স্ট্যাটমেন্ট জমা দিতে পারেন । অথবা তিন মাসের পে-স্লীপ জমা দিতে পারেন ।
৬. ব্যাংক থেকে নেয়া ব্যাংক সলভেন্সির অরিজিনাল কপি দূতাবাসে জমা দিতে হবে ।
৭. ট্রাভেল ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে । তুর্কি ভিসা সেন্টার ব্যতীত অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ইন্সুরেন্স জমা নেয়া হয় না ।
৮. আবেদনকারীর পেশা বা কর্মপরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নিচের তথ্য ও প্রমাণপত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে ।
👍 আবেদনকারী যদি চাকরিজীবী হয় তাহলে পেশা প্রমাণের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া এনওসির (NOC) মূল কপি জমা দিতে হবে । অফিস আইডি কার্ড ও ভিজিটিং কার্ড সংযুক্ত করতে হবে ।
👍 আবেদনকারী যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স ইংরেজিতে অনুবাদ ও নোটারি করে দিতে হবে । সেই সাথে একটি ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে । দুই কপি লেটারহেড প্যাড জমা দিতে হবে সীল ও স্বাক্ষর সহ । ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে করা টিন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে ।
👍 আবেদনকারী যদি ছাত্র-ছাত্রী হয় তাহলে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটির আবেদন বা প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে ও আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে ।
👍 অন্যান্য পেশায় যারা নিয়োজিত আছেন তারা তাদের পেশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করবেন । পেশার সাথে মিল রেখে আইডি ও ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে ।
৯. আবেদনকারী যদি তুর্কি থেকে কোন স্পন্সর লেটার বা আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে থাকেন তাহলে নোটারি করে প্রেরকের পাসপোর্ট কপি ও আইডি কর্ডের কপি সহ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ও দূতাবাসে একটি মেইল করতে হবে ।
১০. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক না । তবে কোন কারণে দূতাবাস থেকে যদি চাওয়া হয় তাহলে প্রদান করতে হবে ।
১১. পূর্বে তুর্কি গিয়ে থাকলে ভিসার ফটোকপি দিতে হবে ও যে সকল দেশ ভ্রমন করা আছে তার ভিসা কপি ট্রাভেল হিস্ট্রি হিসেবে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ।
১২. আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় ও পাসপোর্টে স্ত্রীর নাম উল্লেখ না থাকে তাহলে স্ত্রীকে নিয়ে ভ্রমন করতে চাইলে মেরিজ সার্টিফিকেট অনুবাদ ও নোটারি করে জমা দিতে হবে ।
✍️অতিরিক্ত কাগজপত্রের তালিকা যেগুলো ভিসা আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান আবেদনকারীর পক্ষে প্রদান করবেন:
১. ভিসা অফিসার বরাবর একটি কভার লেটার প্রদান করতে হবে ।
২. রাউন্ড ট্রিপ এয়ার টিকেট বুকিং কপি ।
৩. একটি হোটেল বুকিং কপি ।
৪. ভ্রমন পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি টুর প্ল্যান আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ।
৫. অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন ফর্ম পূরণ করে ও পাসপোর্ট অনুযায়ী স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে ।
দৃষ্টি আকর্ষণ: ভিসা প্রসেসিং হতে ২৫-৩০ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয় । যারা পূর্বে ওভারস্টে করেছেন, ট্রাভেল পাশ নিয়ে দেশে এসেছেন ও এন্ট্রি রিফিউজড হয়েছেন তাদের উপযুক্ত প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে । দূতাবাস চাইলে আপনার সাক্ষাৎকার নিতে পারে । কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)
Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de
Post a Comment