হতাশ মোঃ রমিজ উদ্দিনের স্বপ্নপূরন: Fulfillment of the dream of disappointed Md. Ramiz Uddin

🌠 প্রবাস জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মানুষ মোঃ রমিজ উদ্দিন । জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে । বিভিন্ন গল্পে সবাইকে সহজেই হাঁসাতে পারতেন তিনি । মোঃ রমিজ উদ্দিনের জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকার দোহার উপজেলার নাটাখোলা গ্রামে । আপনারা যারা দোহারে বসবাস করেন তারা সহজেই তাকে চিনবেন । তার বাবার নাম মৃত শামসুদ্দিন ও মাতার নাম শামেলা বেগম । পালামগঞ্জের নাটাখোলা গিয়ে তার নাম ধরে অনুসন্ধান করলে সহজেই পেয়ে যাবেন তার বাড়ি । সম্প্রতি দেশ থেকে ঘুরে গিয়েছেন তিনি । ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত ছিলেন । তারপর দেশে চলে আসেন । দেশে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি ইউরোপে যাবেন । খুব বেশি পড়ালেখা করার সুযোগ না পেয়ে ১৯৯৭ সালে নারায়নগঞ্জ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি থেকে ওয়েল্ডিং কোর্স সম্পন্ন করে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে দোবাই চলে যান । কাজ নেন শিপইয়ার্ড ওয়েল্ডিং সেক্টরে । ১৯৯৭-২০১৭ সাল পর্যন্ত কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন পজিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন । তার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন এবার তিনি ইউরোপের কোন একটি দেশে গিয়ে নিজের এবং পরিবারের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন । প্রথম দিকে অনেকেই তাকে লিবিয়া দিয়ে ইতালি প্রবেশ করার কথা বলেছে । কিন্তু তাতে তিনি রাজি হন নি । পরিবারের কথা চিন্তা করে তিনি বৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথ খুঁজতে থাকেন । অবশেষে তার সাথে আমাদের একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর মাধ্যমে যোগাযোগ হয় । আমরা তাকে আমাদের সকল শর্ত গুলো বুঝিয়ে বলি । তিনি বাড়ি গিয়ে আরো বুঝার সময় নিয়ে চলে যান । কিছু দিন পর তিনি আবার দেখা করতে আসেন । আসার সময় তিনি তার সকল কাগজপত্র ও অভিজ্ঞতা সনদ গুলো নিয়ে এসে আমাদের কাছে জানতে চান আমরা তাকে ওয়েল্ডিং সেক্টরে কাজ দিতে পারবো কিনা । আমরা তাকে নিশ্চিত করি যে তিনি একজন ওয়েল্ডার হিসেবে পোল্যান্ডে যেতে পারেন । অবশেষে তিনি সব কিছু বুঝে পাসপোর্ট ও টাকা রেখে যান । আমরা ২০১৮ সালের জুলাই মাসে  তার ওয়ার্ক পারমিট আসার পর তাকে অফিসে এসে কাগজপত্র গুলো চেক করে যেতে বলি । কিন্তু নয়া দিল্লীতে অবস্থিত পোল্যান্ড ভিএফএস এপয়েন্টমেন্ট পেতে খুব সমস্যা হচ্ছিল । তিন মাস পর এপয়েন্টমেন্ট পেয়ে ফাইল জমা দিতে সক্ষম হই । 
ফাইল জমা দিতে পারলেও ভিসা রিজেক্ট করে দেয় দূতাবাস । হতাশায় ডুবে যান রমিজ মিয়া । কিন্তু একটি বিষয় তার ইউরোপের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখে তা হলো তিনি যখন জানতে পারেন তাদের ভিসা আবেদন রিফিউজড হওয়ার কারনে কম্পানির মালিক নিজে পোল্যান্ড থেকে নিউ দিল্লী চলে এসেছেন । এমনকি নিজে দূতাবাসে প্রবেশ করে জানার চেষ্টা করেন কেন ভিসা গুলো দেয়া হচ্ছে না । বিস্তারিত জেনে তিনি সবাইকে নিজ দেশে ফেরার পরামর্শ প্রদান করেন ও তাদের কাছে ভিসা না দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন । তার কথার ভিত্তিতে সবাই দেশে ফিরে আসেন এবং পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকেন । কম্পানির পরামর্শে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সবাইকে পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়াতে পাঠানো হয় । নিয়ম মেনে ভিসার জন্য আবেদন করা হয় । সবাই ভিসা পেয়ে বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন । ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ০৯ তারিখে মোঃ রমিজ মিয়ার ভিসা ইসু করা হয় । বিএমইটি থেকে ফিঙ্গার ও ম্যানপাওয়ার সম্পন্ন করে মোঃ রমিজ উদ্দিন ২৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেন । বর্তমানে তিনি একজন রেসিডেন্ট হোল্ডার হিসেবে বসবাস করছেন । আমরা তার সার্বিক সুস্থতা কামনা করি । তার ইউরোপের স্বপ্ন যাত্রার সঙ্গী হতে পেরে আমরাও আনন্দিত । আপনারা যারা বয়সে তরুণ ও যুবক তারা কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে ইউরোপে কাজের ভিসার চেষ্টা করুন সফলতা আসবেই ।

হটলাইন:

⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)

Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de

Post a Comment

Previous Post Next Post