🚊ওশেনিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়া । আয়তনে বড় হলেও দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২.৬ কোটি । বেশিরভাগ ভূ-খন্ড বসবাস অনুপযোগী, মরুভূমি, অনুর্বর এবং অসমতল হওয়ায় অনেক জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে । দেশটির রাজধানী ক্যানবেরা হলেও সিডনি সবার কাছে সুপরিচিত । শিক্ষা, গবেষণা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি ও কৃষিতে অস্ট্রেলিয়া অনেক সমৃদ্ধ । প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়াতে পড়ালেখা করতে আসে । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক পর্যটক অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন করতে আসে । অল্প জনসংখ্যার এই দেশটিতে রয়েছে দক্ষ জনশক্তির মারাত্মক সংকট । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ করে থাকে । উন্নত জীবন-মানের সন্ধ্যানে এবং ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে অনেক সচেতন নাগরিক অস্ট্রেলিয়াতে ঘুরতে আসে । দেশটির ভূ-গর্ভে প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে । বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া অত্যন্ত সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ ।
বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা শেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছে । অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জীবন-যাপন ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে অনেক বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী ও শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা বিভিন্নভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছে । অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী নাগরিকদের মূলত চারটি ক্যাটাগরিতে ভিসা প্রদান করে থাকে ।
👍 ভ্রমন ভিসা
👍 স্টুডেন্ট ভিসা
👍 স্কিলড ওয়ার্ক ভিসা
👍 পাটনার ভিসা
অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের সুবিধার্থে ভিসা গুলোকে বেশ কয়েকটি সাবক্লাসে বিভক্ত করেছেন । অর্থাৎ ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই সঠিক ক্যাটাগরি সম্পর্কে জেনে আবেদন করতে হবে । অন্যথায় তার আবেদনটি বাতিল বলে বিবেচিত হবে । একজন ভালো কনসালটেন্টের পরামর্শ ব্যতীত কখনো ভিসা আবেদন করবেন না । অস্ট্রেলিয়া সরকার দক্ষ জনশক্তির চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে । ২০২৫ সালে বিভিন্ন খাতে দেশটিতে প্রায় ২,৮০,০০০ দক্ষ জনশক্তির সংকট রয়েছে । আপনারা যারা উচ্চ শিক্ষা নিতে আগ্রহী ও অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করতে চান তারা সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন । বিশেষ করে আপনারা যারা তথ্য-প্রযুক্তি, নার্সিং, রোবটিক সাইয়েন্স, বায়ো টেকনোলজি, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আগ্রহী তারা আইইলটিএস ও পিটিই কোর্স সম্পন্ন করে খুব সহজেই স্কলারশিপ সহ পড়ালেখা করতে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন । অন্যদিকে পড়ালেখা শেষ করে আপনারা যারা দেশে চাকরি করছেন তারাও চাইলে আপনার আভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা ও প্রশিক্ষণকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে ও উন্নত জীবন গড়তে অস্ট্রেলিয়াতে স্কিলড ওয়ার্ক ভিসাতে আবেদন করতে পারেন । এছাড়াও যারা ভ্রমন ও ব্যবসা করতে আগ্রহী তারা ভ্রমন ভিসার আবেদন করতে পারেন । ভিসা আবেদনে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে । নিচে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো:
👉 নিজের শিক্ষা, অবস্থান ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভিসার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে হবে ।
👉 ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে ।
👉 নিয়ম মেনে সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে ।
👉 ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে ।
👉 দূতাবাস বা সরকার কতৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদান করতে হবে ।
👉 যে সকল ক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট প্রয়োজন হয় সেই সকল ক্ষেত্রে মেডিকেল করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ।
👉 যদি দূতাবাস থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে হবে ।
👉 সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করে ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।
👉 ভিসা আবেদন মঞ্জুর হলে বিমান টিকিট ক্রয় করে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে গমন করতে হবে ।
ভিসা আবেদনের যে কোন পর্যায়ে কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিতে ভুলবেন না । আপনাদের মাথায় আসা যে কোন প্রশ্নের সমাধান আমাদের বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন ।
হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)
Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de
Post a Comment