আমাদের অর্জন: মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের পোল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা

👷মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জ উপজেলার পানালিয়া গ্রামে । তার বাবার নাম মৃত মতিয়ার রহমান ও মাতার নাম মৃত রুপজান । তিনি ১৯৯৭ সালে দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন । তারপর নারায়নগঞ্জ শিপইয়ার্ড থেকে ওয়েল্ডিং ও গ্যাস কাটিং বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুবাই চলে যান । দুবাইতে দীর্ঘদিন শিপ বিল্ডিং সেক্টরে চাকরি করেন । এক সময় ইউরোপের নেশা তার মাথায় ভর করে । নবাবগঞ্জের অনেক মানুষ যেহেতু ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সেহেতু তিনিও ইউরোপে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । দুবাই থেকে অনেকেই তাকে সাগর পথে লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশের পরামর্শ প্রদান করে । কিন্তু তিনি অবৈধভাবে সাগর পথে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চিন্তা থেকে সরে আসেন । প্রথমবার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্রমন ভিসা করার চেষ্টাও করেন । কিন্তু ফলাফল শূন্য । হতাশ হয়ে আবার দুবাই চলে যান । ফ্রান্সে থাকা তার এক আত্মীয় মাধ্যমে পরিচয় হয় আমাদের সাথে । ২০১৮ সালে গিয়াস উদ্দিন তার সকল অভিজ্ঞতা সনদ ও কাগজপত্র স্ক্যান করে আমাদেরকে প্রদান করে । আমরা তার সকল কাগজপত্র কম্পানিতে প্রেরণ করি । তার অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা দেখে সন্তুষ্ট হয়ে পোল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করতে সম্মত হয় ।   দ্রুত তার ওয়ার্ক পারমিট চলে আসে । আমরা নিউ দিল্লী পোল্যান্ড ভিএফএস থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংগ্রহ করি । এমনকি তার ভিসা আবেদন জমা করি । কিন্তু দূতাবাস সন্দেহবশবর্তী হয়ে ভিসা আবেদন না-মঞ্জুর করে । পোল্যান্ডের কম্পানি মালিক নিজে নিউ দিল্লী এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা না দেয়ার কারণ জানার চেষ্টা করেন । বাংলাদেশ-ভারত বৈরি সম্পর্কের বলি হন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন । 
অবশেষে আমাদের কম্পানি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরে অবস্থিত পোল্যান্ড এম্বাসিতে আবেদন জমার পরামর্শ দেন । আমরা তাকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া চলে যাই । দূতাবাস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিসা আবেদন জমা করতে সক্ষম হই । ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ সালে প্রথম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ভিসা ইসু হয় । আমাদের সবার প্রচেষ্ট সফল হয় । দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করে সে বাংলাদেশে ফিরে আসেন । নিয়ম অনুযায়ী ফিঙ্গার প্রিন্ট ও তিন দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন । বিএমইটি ভবন থেকে ম্যানপাওয়ার কার্ড সংগ্রহ করে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ত্যাগের প্রস্তুতি নেন । ২০১৯ সালের ০৮ এপ্রিল কাতার এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি পোল্যান্ড চলে যান । বর্তমানে তিনি পোল্যান্ডের প্লক শহরে কর্মরত আছেন । ইতোমধ্যে তিনি রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে বাংলাদেশ থেকে ঘুরে গিয়েছেন । আমাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন । আমরা তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি

হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)

Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de

Post a Comment

Previous Post Next Post