👍ভিসার ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে ভিসা কি সে বিষয়টা আমাদের জানা উচিত । অনেক গুলো সজ্ঞা ও ব্যাখ্যা পড়ে আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি তা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি । আমার মতে,
"ভিসা হলো কতিপয় শর্তের ভিত্তিতে একজন ভিনদেশী নাগরিককে একটি স্বাধীন সার্বোভৌম দেশে প্রবেশ, অবস্থান ও নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিশেষ অনুমতিপত্র ।"
এবার ভিসা প্রচলন পদ্ধতির ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বলতে চাই । এটা বলা খুবই কঠিন কোন দেশ সর্ব প্রথম ভিসা পদ্ধতি চালু করেছিল । তবে ধারণা করা হয় ব্রিটিশরা সর্ব প্রথম ভিসা পদ্ধতি চালু করেছিল । কারণ হিসেবে বলা হয় থাকে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ব্রিটিশদের উপনিবেশ ছিল । বিভিন্ন প্রয়োজনে উপনিবেশ দেশ গুলোর প্রতিনিধিরা লন্ডন প্রবেশে বিশেষ অনুমতিপত্র ব্যবহার করতেন । আর এই অনুমতি পত্রই পরবর্তীতে ভিসা হিসেবে বিবেচিত হয় । অর্থাৎ আমরা বুঝতে পারলাম ভিসা হলো এক ধরণের অনুমতিপত্র ।
মূলতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক গুলো স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয় । প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্র নিজস্ব নিয়ম-নীতি ও শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তণ করে । রাষ্ট্রের সকল স্তরে পরিবর্তণ আসে । ১৯৪৫ সালে জাতিসঙ্ঘ গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, আলোচনা, ব্যবসা, ভ্রমন, বসবাস ও কাজ কর্ম স্বাভাবিক রাখতে ভিসা পদ্ধতি চালু করা হয় ।
পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ার পূর্বে ভিসা অনুমোদন পত্র নিয়েই এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করতে হতো । এখনো ভিয়েতনাম পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও ভিসা অনুমোদন পত্র (ভিসা এপ্রুভাল লেটার) ইসু করে । আপনারা যারা ভারতের সিকিম ঘুরতে যান তারাও রাংপো চেকপোস্ট থেকে অনুমোদন পত্র সংগ্রহ করে তারপর ঘুরতে যান । বর্তমান বিশ্বে তিন পদ্ধতিতে ভিসা প্রমানপত্র প্রদান করা হয় ।
১. পাসপোর্টে স্টিকার সংযুক্ত করে । অধিকাংশ দেশ স্টিকার ভিসা দিয়ে থাকে । যেমন-ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশ গুলো, আমেরিকা, কানাডা, ভারত, চীন, জাপান, রাশিয়া ইত্যাদি ।
২. পাসপোর্টের তথ্যের ভিত্তিতে ই-ভিসা প্রদান করে । অনেক দেশ বর্তমানে ই-ভিসা প্রদান করছে । আরো কিছু দেশ এই পদ্ধতি ব্যবহারে এগিয়ে আসছে । যেমন- মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি ।
৩. পাসপোর্টে সীল ব্যবহার করে । পূর্বে অনেক দেশ পাসপোর্টে সীল দিয়ে ভিসা প্রদান করতো । এখন এ ধরণের ভিসার প্রচলন নেই বললেই চলে । যেমন- নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান ইত্যাদি ।
মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী ভিসা বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে ।
১. ভ্রমন ভিসা
২. ব্যবসায়িক ভিসা
৩. কাজের ভিসা
৪. স্টুডেন্ট ভিসা
৫. চিকিৎসা ভিসা
৬. এন্টি ভিসা (প্রয়োজন সাপেক্ষে)
৭. ট্রানজিট ভিসা
বই ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে ও নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে ভিসা সম্পর্কে কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি । আপনাদের মতে কোন তথ্য উপস্থাপনে যদি ভুল করে থাকি তাহলে লিখে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি । ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে পারব যদি আপনারা ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়ে সহায়তা করেন । সবাই ভালো থাকবেন । Read more
হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)
Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de
Post a Comment