পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন: Application for Police Clearance

👲দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজনে আমাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় । আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করা হলেও এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া জটিল করেছে আমাদের পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা । নিয়ম অনুযায়ী একটি নিদিষ্ট ফি পরিশোধ করে বাংলাদেশের নাগরিকেরা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন । অন-লাইনে আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র স্ক্যান করে জমা দিতে হবে । অর্থাৎ চাকরি আবেদন করার মতো প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও প্রমাণ সরবরাহ করে যে কোন ব্যক্তি এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন । সব কিছু সহজ করা হলেও এই সার্টিফিকেট প্রাপ্তিকে হারানো অর্থ ফিরে পাওয়ার মতো জটিল করে রেখেছিলেন আমাদের জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী । নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তির বিরোদ্ধে যদি কোন রকম মামলা বা দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকে তাহলে তিনি এই সার্টিফিকেট পাবেন না । মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে তারপর আবেদন করতে হবে । কিন্তু যাদের এমন কোন সমস্যা নাই তাদের তো সার্টিফিকেট পেতে কোন বাধা নেই ।  যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে তাদের একটা বড় অংশই প্রবাসী শ্রমিক বা প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে দেশের বাইরে যেতে আগ্রহী । অনেক সময় চাকরিতে যোগদান করার পূর্বে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে বলা হয় । আবেদনের সময় আমরা আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও ফোন নাম্বার ব্যবহার করি । আবেদনকারীর বিরোদ্ধে যদি থানায় কোন অভিযোগ থাকে, মামলা থাকে বা বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে সেটা তো জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে । একজন আবেদনকারী যেহেতু সরকারকে ফি দিয়ে আবেদন করে তাহলে ফোন করে পুলিশের ঘুষ দাবি করার প্রয়োজনটা কি ? আশা করি কতৃপক্ষ এ বিষয়ে একটু কর্ণপাত করবেন ও ডিজিটাল স্বাক্ষর যুক্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইসু করবেন । এমনকি যে কেউ চাইলেই যেন অন-লাইনে ভেরিফাই করতে পারে ।

🙏🙏আপনারা যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা নিচের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সবার আগে সংগ্রহ করবেন ।

১. জাতীয় পরিচয়পত্রের কালার প্রিন্ট কপি সরকারি কলেজের শিক্ষক বা উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা কতৃক সত্যায়িত করে নিবেন ।

. পাসপোর্টের তথ্যপাতার কালার প্রিন্ট কপি সরকারি কলেজের শিক্ষক বা উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা কতৃক সত্যায়িত করে নিবেন  ।

৩. ইউনিয়ন/পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সনদ সংগ্রহ করে আবেদনের সাথে জমা দিবেন ।

৪. ব্যাংকে বা অন-লাইনে আবেদন ফি পরিশোধ করার প্রমাণপত্র আবেদনের সাথে জমা দিবেন । 

৫. সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি স্ক্যান করে আবেদনের সময় জমা দিতে হবে ।

উপরে উল্লেখিত সকল কাগজপত্র আবেদনের সাথে সঠিকভাবে জমা করলে আশা করি ৩-৭ কর্মদিবসেই আপনার সার্টিফিকেট অন-লাইনে দেখতে পাবেন ।

👍বিশেষ দ্রষ্টব্য: যারা প্রবাস থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করতে চান তারা অনুগ্রহ করে আমাদের ওয়েব সাইট থেকে হুয়াটস অ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিবেন । আর আপনার প্রথম কাজ হবে পাসপোর্টের তথ্য পাতার কপিটি দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে নেয়া । Read more E-Passport

হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)

Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de

Post a Comment

Previous Post Next Post