বাংলাদেশি পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়া ভ্রমন: Travel to Indonesia for Bangladeshi tourists

👍দ্বীপ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ ইন্দোনেশিয়া । দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত । ১৭,০০০ হাজার দ্বীপ নিয়ে এই স্বাধীন দেশটি গঠিত । বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়া । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক প্রতিবছর এই দেশটিতে ঘুরতে আসে । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি সকল ধর্মের মানুষকে তাদের দেশে প্রতিবছর ভ্রমন করার সুযোগ দিয়ে থাকে । অন-অ্যারাইভাল ভিসাতে ইন্দোনেশিয়াতে আসতে পারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা । কভিড ১৯ এর পর কিছু দেশের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেশটির ইমিগ্রেশন । বাংলাদেশি নাগরিকেরা পূর্বে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পেলেও বর্তমানে কঠোর ভিসা নীতির আওতায় পড়েছে বাংলাদেশি পর্যটকেরা । ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা, বোর্নিও, সোলাওয়েসি, নিউগিনি দ্বীপগুলো সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে বিখ্যাত । কৃষি ও পর্যটন নির্ভর খনিজ সম্পদে ভরপুর দেশটি আস্তে আস্তে তার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে । দেশটির রাজধাণী জাকার্তা এবং তাদের মুদ্রার নাম ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া । মানুষ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ অনেক অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুবৎসল । বেশ কিছু সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থাকার কারণে দেশটিতে প্রায়ই সুনামি ও ভূমিকম্প আঘাত হানে । ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে ২৮০ মিলিয়নের অধিক মানুষ বসবাস করে । সারা বিশ্বে দেশটি চতুর্থ জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত । আপনারা যারা দেশটি ভ্রমন করতে আগ্রহী তারা ভিসা প্রসেসিং করে ঘুরে আসতে পারেন ।
Transportation in Indonesia
Sea Port in Indonesia
✍️ ইন্দোনেশিয়া ভ্রমন ভিসার জন্য বাধ্যতামূলক কাগজপত্রের তালিকা:

১. আবেদনকারী সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের (৪৫/৫৫ মিলিমিটার) দুই কপি ছবি । অবশ্যই ল্যাব থেকে প্রিন্ট করে জমা দিবেন । ছবির চারপাশে কোন বর্ডার থাকবে না । চোখে চশমা ও মাথায় টুপি দিয়ে ছবি তুলবেন না । দুই কান পর্যন্ত অবশ্যই দৃশ্যমান থাকতে হবে । সাদা শার্ট ও পাঞ্জাবি পরিধান করবেন না ।

২. আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ সাত (০৭) মাসের কম থাকা যাবে না । দূতাবাসে অরিজিনাল পাসপোর্ট ও তথ্য পাতার দুই সেট ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে ।

৩. আবেদনকারীর জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও অরিজিনাল সাথে নিয়ে যেতে হবে ।

৪. ই-টিন সার্টিফিকেটের কালার কপি জমা দিতে হবে ।

৫. আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে দুই লাখ (২,৫০,০০০) টাকার অধিক ব্যাংক ব্যলেন্স সহ ছয় (০৬) মাসের অরিজিনাল ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টের কপি/ক্রেডিট কার্ডের স্যাটমেন্টের কপি/ব্যাংক থেকে করা মাল্টিকারেন্সি কার্ডে ডলার এন্ডোর্সমেন্টের কপিও ব্যবহার করা যেতে পারে । পেশা অনুযায়ী সেলারী একাউন্টের স্ট্যাটমেন্ট জমা দিতে পারেন । অথবা তিন মাসের পে-স্লীপ জমা দিতে পারেন ।

৬. ব্যাংক থেকে নেয়া ব্যাংক সলভেন্সির অরিজিনাল কপি দূতাবাসে জমা দিতে হবে ।

৭. ব্যাংকের চেক বইয়ের একটি ফটোকপি ও ইন্টারভিউয়ের সময় চেক বই সাথে নিতে হবে । যারা ক্রেডিট কার্ড বা ভিসা কার্ড ব্যবহার করেন তারা তাদের কার্ড সাথে নিয়ে যাবেন ।

৮. আবেদনকারীর পেশা বা কর্মপরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নিচের তথ্য ও প্রমাণপত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে ।

👍 আবেদনকারী যদি চাকরিজীবী হয় তাহলে পেশা প্রমাণের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া এনওসির (NOC) মূল কপি জমা দিতে হবে । অফিস আইডি কার্ড ও ভিজিটিং কার্ড সংযুক্ত করতে হবে । 

👍 আবেদনকারী যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স ইংরেজিতে অনুবাদ ও নোটারি করে দিতে হবে । সেই সাথে একটি ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে । দুই কপি লেটারহেড প্যাড জমা দিতে হবে ।

👍 আবেদনকারী যদি ছাত্র-ছাত্রী হয় তাহলে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটির আবেদন বা প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে ও আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে ।

👍 অন্যান্য পেশায় যারা নিয়োজিত আছেন তারা তাদের পেশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করবেন । পেশার সাথে মিল রেখে আইডি ও ভিজিটিং কার্ড জমা দিতে হবে ।

৯. আবেদনকারী যদি ইন্দোনেশিয়া থেকে কোন স্পন্সর লেটার বা আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে থাকেন তাহলে নোটারি করে প্রেরকের পাসপোর্ট কপি ও আইডি কর্ডের কপি সহ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ও দূতাবাসে একটি মেইল করতে হবে ।

১০. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক না । তবে কোন কারণে দূতাবাস থেকে যদি চাওয়া হয় তাহলে প্রদান করতে হবে ।

১১. ট্রাভেল মেডিকেল ইন্সুরেন্স জমা দিতে হবে । 

১২. পূর্বে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে থাকলে ভিসার ফটোকপি দিতে হবে ও যে সকল দেশ ভ্রমন করা আছে তার ভিসা কপি ট্রাভেল হিস্ট্রি হিসেবে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে । 

১৩. আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় ও পাসপোর্টে স্ত্রীর নাম উল্লেখ না থাকে তাহলে স্ত্রীকে নিয়ে  ভ্রমন করতে চাইলে মেরিজ সার্টিফিকেট অনুবাদ ও নোটারি করে জমা দিতে হবে ।

১৪. আপনারা যারা কভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা অবশ্যই সার্টিফিকেট ফটোকপি করে দিবেন ।

✍️অতিরিক্ত কাগজপত্রের তালিকা যেগুলো ভিসা আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান আবেদনকারীর পক্ষে প্রদান করবেন:

১. ভিসা অফিসার বরাবর একটি কভার লেটার প্রদান করতে হবে ।

২. রাউন্ড ট্রিপ এয়ার টিকেট বুকিং কপি ।

৩. একটি হোটেল বুকিং কপি ।

৪. ভ্রমন পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি টুর প্ল্যান আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ।

৫. অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন ফর্ম পূরণ করে ও পাসপোর্ট অনুযায়ী স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে ।

৬. হেলথ প্রোটকল স্ট্যাটমেন্ট লেটার পাসপোর্ট অনুযায়ী স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে ।

৭. ফাইন্যানশল স্ট্যাটমেন্ট লেটার পাসপোর্ট অনুযায়ী স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে ।

দৃষ্টি আকর্ষণ: ভিসা প্রসেসিং হতে ১৫-২০ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয় । যারা পূর্বে ওভারস্টে করেছেন, ট্রাভেল পাশ নিয়ে দেশে এসেছেন ও এন্ট্রি রিফিউজড হয়েছেন তাদের উপযুক্ত প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে । দূতাবাস চাইলে আপনার সাক্ষাৎকার নিতে পারে । কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।

হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)

Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de

Post a Comment

Previous Post Next Post