✍️আবেদনকারীর জন্য বাধ্যতামূলক কাগজপত্রের তালিকা:
১. সাম্প্রতি তুলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের (৩৫/৪৫ মিলিমিটার সাইজ) ছবির সফট কপি জেপিজি ফরমেটে ভালো রেজুলেশনে প্রদান করতে হবে । ছবির চারপাশে কোন বর্ডার থাকবেনা । চোখে চশমা ব্যবহার করে ছবি তুলা যাবেনা ও মাথায় কোন টুপি দেয়া যাবেনা । ছবিতে দুই কান স্পষ্ট দৃশ্যমান থাকতে হবে । অনুগ্রহকরে ছবি তুলার সময় সাদা শার্ট ও পাঞ্জাবি পরিধান করবেন না ।
২. আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ অবশ্যই সাত (০৭) মাসের বেশি থাকতে হবে । মেয়াদ উত্তীর্ণ সহ সকল পাসপোর্টের তথ্য পাতার স্পষ্ট স্ক্যানকপি প্রদান করতে হবে ।
৩. আবেদনকারীর আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে জনপ্রতি (৭০,০০০-১,০০,০০০ টাকার) অধিক ব্যাংক ব্যলেন্স সহ ছয় (০৬) মাসের অরিজিনাল ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট/ক্রেডিট কার্ডের স্ট্যাটমেন্ট বা এফডিআরের কপি ব্যাংকের সীল ও স্বাক্ষর সহ প্রদান করতে হবে ।
৪. ব্যাংকের সীল ও ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ ব্যাংক সলভেন্সির অরিজিনাল কপি প্রদান করতে হবে । সলভেন্সি নেয়ার সময় সর্বশেষ ব্যালেন্স লিখে দিতে বলবেন ।
৫. আবেদনকারীর পেশা বা কর্মপরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নিচের তথ্য ও প্রমাণপত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে ।
👍আবেদনকারী যদি চাকরিজীবী হয় তাহলে পেশা প্রমাণের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া এনওসির (NOC) স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে । অফিস আইডি কার্ডের কালার স্ক্যান কপি ও ভিজিটিং কার্ডের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে । চাকরিজীবি হলে সেলারি একাউন্টের স্ট্যাটমেন্ট দেয়ার চেষ্টা করবেন । অন্যথায় ব্যক্তিগত স্ট্যাটমেন্টের পাশাপাশি গত ২-৩ মাসের সেলারি স্লীপ প্রদান করতে হবে ।
👉আবেদনকারী যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের স্ক্যান কপি ইংরেজিতে অনুবাদ ও নোটারি করে জমা দিতে হবে । সেই সাথে ভিজিটিং কার্ডের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে । ব্যবসায়ীরা সব সময় চেষ্টা করবেন বিজনেস একাউন্টের স্ট্যাটমেন্ট দেয়ার ।
👉আবেদনকারী যদি ছাত্র-ছাত্রী হয় তাহলে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটির আবেদন বা প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে । প্রতিষ্ঠান কতৃক প্রদানকৃত আইডি কার্ডের কালার স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে ।
👉অন্যান্য পেশায় যারা নিয়োজিত আছেন তারা তাদের পেশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে পারবেন । পেশার সাথে মিল রেখে আইডি ও ভিজিটিং কার্ড দিতে ভুলে যাবেন না । সেলারি একাউন্ট না থাকলে পে-স্লীপ অবশ্যই আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ।
৬. আবেদনকারী যদি থাইল্যান্ড থেকে কোন স্পন্সর লেটার বা আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে থাকেন তাহলে প্রেরকের পাসপোর্ট কপি ও আইডি কর্ডের স্ক্যান কপি আবেদনের সাথে জমা দিতে ভুলবেন না ।
৭. পূর্বে থাইল্যান্ড ভ্রমন করে থাকলে ভিসার কপি দিতে ভুলে যাবেন না । এছাড়াও বিগত বছর গুলোতে যে সকল দেশ ভ্রমন করেছেন সেই সকল দেশের ভিসা কপি ট্রাভেল হিস্ট্রি হিসেবে আবেদনের সাথে স্ক্যান করে জমা দিতে ভুলবেন না ।
✍️অতিরিক্ত কাগজপত্রের তালিকা যেগুলো ভিসা আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান আবেদনকারীর পক্ষে প্রদান করবেন:
১. ভিসা অফিসার বরাবর একটি কভার লেটার প্রদান করবে । আবেদনকারী চাইলে নিজেও লিখে দিতে পারেন ।
২. রাউন্ড ট্রিপ এয়ার টিকেটের বুকিং কপি প্রদান করবে ।
৩. একটি হোটেল বুকিং কপি প্রদান করবে ।
৪. ভ্রমন পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি টুর প্ল্যান তৈরি করে আবেদনের সাথে জমা দিবেন ।
৫. অনলাইনে নির্ভুল ও সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন ফর্ম পূরণ করে দেয়া হবে । ভিসা ফি পেমেন্ট করে পেমেন্ট স্লীপ আপনাকে পাঠিয়ে দেয়া হবে ।
দৃষ্টি আকর্ষণ: ভিসা প্রসেসিং হতে ২-৫ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয় । যারা পূর্বে থাইল্যান্ড ওভারস্টে করেছেন, মামলায় শাস্তি পেয়েছেন, ট্রাভেল পাশ নিয়ে দেশে এসেছেন ও বিমানবন্দরে এন্ট্রি রিফিউজড হয়েছিলেন তারা অনুগ্রহকরে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়া ভিসা আবেদন করবেন না । এছাড়াও ভিসা আবেদন জমা দিয়ে যারা VL,WL, BL সীল সহ পাসপোর্ট ফেরত পেয়েছেন তারা আমাদের সাথে সাক্ষাৎ না করে জমা দিয়েন না । দূতাবাস চাইলে আপনার সাক্ষাৎকার নিয়ে ভিসা প্রদান করতে পারে । কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । Click for the Philippines
Post a Comment