👍বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ । আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি । শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেশি হলেও দক্ষ ও কর্মঠ মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কম । আমাদের দেশের বেকারদের একটা বড় অংশ বিদেশে গিয়ে উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর থাকে । নিজস্ব কোন স্কিল বা কর্মদক্ষতা না থাকলেও বিদেশে গিয়ে ডলার, ইউরো, পাউন্ড ও দিরহাম কামানোর স্বপ্ন দেখে । অনেকেই আবার ইউরো কামানোর আসায় সাগর পাড়ি দেয় । কিন্তু বাস্তবে কর্মদক্ষতা ছাড়া বিদেশে বেকারত্ব ও ফুটপাত হয় তাদের নিত্য সঙ্গী । প্রতিবছর অবৈধ পথে ইউরোপ আমেরিকা যাওয়ার পথে শত শত তরুণ মারা যায় । আমরা হয়তো অল্প কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পত্রিকা ও ডিজিটাল মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পারি । কিন্তু যারা সীমান্ত ও মাঝ সাগর থেকে আটক হয় তাদের খবর জানতে পারি না । অবৈধ অভিবাসন কারো জন্যই সুখকর না । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্প্রতি অভিবাসন আইনে অনেক পরিবর্তন এনেছে । কোন উন্নত দেশ অবৈধ অভিবাসীদের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী না । সবাই তাদের সীমান্তে নজরদাড়ি বৃদ্ধি করেছেন । উন্মুক্ত বর্ডার গুলো এখন নজরদারিতে নিয়ে আসা হয়েছে । অবাধ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে । আপনারা যারা ভবিষ্যতে দক্ষ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরাপদ কর্মসংস্থানের সন্ধানে যেতে আগ্রহী তারা "রিমিনি কর্মী ভিসা প্রকল্প-২০২৬" এ অংশ নিতে পারেন । আমাদের এই প্রকল্পে অংশ নিয়ে আপনারা নিরাপদে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারেন । তিনটি ধাপে আমরা আপনাদেরকে মূল্যায়ণ করে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করবো ।
👍 প্রাথমিক সাক্ষাৎকার ও তথ্য সংগ্রহ
👍 কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ
👍 বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রেরণ ও সেবা নিশ্চিতকরন
আপনারা যারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশে চাকরির সন্ধানে যেতে আগ্রহী তারা আমাদের এই তিনটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সহজেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারেন ।
প্রাথমিক সাক্ষাৎকার ও তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ধাপ:
✌️আপনি যদি প্রবাসে ভালো কিছু করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধ করে ও হটলাইনে ফোন করে প্রাথমিক সাক্ষাৎকার ও তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন ।
✌️বাংলা ও ইংরেজিতে আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে একটি চিঠি লিখতে পারেন ।
✌️চিঠি লেখা শেষে তা আমাদের ই-মেইল বা হটলাইন হুয়াটস অ্যাপ নাম্বারে প্রেরণ করুন ।
✌️আপনি যদি প্রবাস ফেরত হয়ে থাকেন তাহলে কোন দেশে ছিলেন ও কি কাজ করতেন তা চিঠিতে উল্লেখ করুন ।
✌️সাক্ষাৎকারের তারিখ ও সময় উল্লেখিত চিঠি পেয়ে থাকলে নিদিষ্ট স্থানে উপস্থিত থাকুন ।
✌️আসার সময় আপনার পাসপোর্ট ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি নিয়ে আসবেন ।
✌️কোন কারিগরি প্রশিক্ষণ সনদ থাকলে তার ফটোকপি নিয়ে আসবেন ।
✌️জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আসবেন ।
✌আপনার যদি পেশাদার বা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে তার ফটোকপি নিয়ে আসবেন ।
✌️আপনার যদি কোন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকে তাহলে তার ফটোকপি নিয়ে আসবেন ।
✌️পাসপোর্টে কোন দেশের ভিসা থাকলে তার ফটোকপি নিয়ে আসবেন ।
👍একটি বিষয় আপনারা সবসময় মনে রাখবেন বর্তমান যুগে কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউ কাজ দিতে চায় না । আপনারা যদি আমাদের দেশের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো একটু পড়ে দেখেন তাহলে বিষয়টি একদম পরিস্কার হয়ে যাবে । আপনি যদি একজন ক্লিনার হিসেবে চাকরির আবেদন করতে যান তাহলে দেখবেন সেখানেও ১-৩ বছরের অভিজ্ঞতা চেয়েছে । গাড়ি চালক হিসেবে আবেদন করতে যাবেন সেখানেও একই অবস্থা । তাই একটি কাজ ও চাকরির জন্য প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই । আমরা দ্বিতীয় ধাপে আপনাদের কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করবো ।
কর্মদক্ষতা উন্নয়ণ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিভিন্ন ধাপ:
✌️প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে আসতে হবে ।
✌️আপনাদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে ।
✌️বিদেশে যে সকল কাজে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে সেই সকল কাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আপনাদেরকে চিঠি পাঠানো হবে ।
✌️চিঠিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সকল শর্ত উল্লেখ থাকবে ।
✌️আপনারা যদি কর্মদক্ষতা অর্জন করে বিদেশে যেতে চান তাহলে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ।
✌️সৌদি আরব বর্তমানে অন-লাইনে পরীক্ষা নিয়ে কর্মদক্ষতার সার্টিফিকেট প্রদান করছে ও কর্মী নিয়োগ করছে । পরীক্ষায় আপনারা পাশ না করলে সৌদি আরব যেতে পারবেন না । অন্যান্য দেশ গুলোও ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি চালু করবে ।
✌️আমরা আপনাদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিবো ।
✌️বিদেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিবো ।
✌️আপনার জেলায় সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়ণে পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে চাইলে আপনারা প্রশিক্ষণ গুলো করে নিতে পারবেন ।
✌️বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ বিদেশে যায় । আপনারা যে কোন একটি পেশা বা কাজ শিখে আমাদের প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত ডেলিগেট ইন্টারভিউতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন ।
✌️স্বজনপ্রীতি নয়, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই আপনাকে বিদেশে যেতে হবে ।
✌️ইংরেজি, জার্মান, কোরিয়ান ও জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে ।
👍রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আমাদের দেশের শ্রমিকদের অদক্ষতার কারনে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছিল । এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকেরা বিদেশে গিয়ে নিয়োগকর্তার সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে ও অন্য দেশে চলে যেত । এতে নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল । রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে শ্রমিক নিয়োগ পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে । নিয়োগকর্তাদের মাঝে বিশ্বাস ফিরে এসেছে । আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও ভিসা সেন্টার গুলো চালু হলে শ্রমিক যাওয়ার সংখ্যা বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে ।
বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভিসা প্রসেসিং, কর্মী প্রেরণ ও সেবা নিশ্চিতকরণে আমরা নিচের ধাপ গুলো অনুস্মরণ করি:
✌️বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি থাকার কারণে আমরা খুব সহজেই আপনাদের জন্য কাজের অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে পারি ।
✌️আপনাদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী সিভি ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়োগ কর্তার নিকট প্রেরণ করি ।
✌️নিয়োগকর্তা আপনাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে চাইলে তার ব্যবস্থা করি ।
✌️আপনার কর্মদক্ষতার উপর ভিডিও তৈরি করে নিয়োগকর্তাকে প্রেরণ করি ।
✌️নিয়োগকর্তা আপনাকে চাকরি দানে সম্মত হলে চুক্তি সম্পন্ন করি ।
✌️আপনাদের অভিবাসন ব্যয় কমাতে বিভিন্ন খরচের খাতগুলো (ভিসা ফি, ইন্সুরেন্স, ওয়ার্ক পারমিট ইসু চার্জ, ভিসা প্রসেসিং চার্জ, ম্যানপাওয়ার) বিস্তারিত তুলে ধরি ।
✌️কোন কারনে আপনি যদি ভিসা না পান তাহলে চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী অর্থ ফেরত প্রদান করি ।
✌️আপনারা চাইলে নিদিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে মোট খরচের ৫০% বিনিয়োগ করে বাকি টাকা আয় করেও পরিশোধ করতে পারবেন ।
✌️রিমিনি ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫০% খরচ প্রদান সাপেক্ষে আপনাকে সকল শর্ত পূরণ করে বিদেশে যেতে আবেদন করতে হবে ।
✌️বিদেশ ফেরত, দক্ষ ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যরা এই প্রকল্প থেকে সহযোগিতা পাবেন ।
✌️আমাদের মাধ্যমে যারা বিদেশে চাকরি করতে যাবেন তারা কাজের সকল শর্ত মেনে এক বছর অবস্থান করতে বাধিত থাকবেন ।
✌️কর্মস্থল থেকে পালিয়ে গেলে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান কোন দায়িত্ব গ্রহণ করবে না । আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
✌️কর্মস্থলে কোন দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রতিষ্ঠান আপনার চিকিৎসা খরচ বহন করবে । ইন্সুরেন্সের আওতায় সকল সুবিধা আপনি ভোগ করতে পারবেন ।
✌️নিয়োগকর্তা আপনার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে আপনাকে প্রমোশন বা অন্য কোন সুবিধা দিলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না ।
✌️ভিসা হওয়ার পর কম্পানি আপনাদেরকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে নিয়ে যাবে । রেসিডেন্সি কার্ড সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করবে ।
✌️যে কোন সমস্যায় পড়ে আমাদের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে পারবেন ।
হটলাইন:
⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)
Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de
Post a Comment