সস্তায় অন-লাইনে টিকিট কেটে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কেন: Why we are to return home from airport purchasing cheap air ticket online

💥বর্তমান যুগে হাতে হাতে স্মার্ট ফোন আমাদের কাজকে যেমন সহজ করেছে তেমনি কিছু বিডম্বনাও তৈরি করেছে । কোন বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও আমরা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে সকল প্রকার সেবা নেয়ার চেষ্টা করি । কিন্তু সকল সেবাই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব না । একজন ব্যক্তির স্মার্ট ফোন ব্যবহারের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন ও কিভাবে ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে সেটাও জানা প্রয়োজন । সারা বিশ্বে তিনটি সফটওয়ারের (গ্যালিলিও, সেইবার, অ্যামাডিউস) মাধ্যমে এয়ার টিকেট ইসু, রি-ইসু ও রিফান্ড সার্ভিস প্রদান করা হয়ে থাকে । এয়ারলাইন্স গুলো তাদের সিট গুলো এই তিনটি সফটওয়ারের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বন্টন করে থাকে । এই সফটওয়ার গুলো মোবাইল বা স্মার্ট ফোনে ব্যবহার উপযোগি না । পেশাদার কর্মী ছাড়া এই সফটওয়ার পরিচালনা সম্ভব না । ইন্টারনেশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশনের সদস্যপদ নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রয় করার অনুমতি পেয়ে থাকে । কিছু কিছু এয়ারলাইন্স তাদের নিজেস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সীমিত আকারে সেবা দিয়ে থাকে । অনেক আয়েটা এজেন্সি নিজেদের প্রয়োজনে ওয়েবপোর্টালের সাথে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি এয়ার টিকিট বিক্রয় করে থাকে । সাধারণ জনগনকে মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়ের সুযোগ দিয়ে থাকে । কিন্তু বিপত্তি তৈরি হয় যখন একজন ব্যক্তি সঠিক ফ্লাইট নির্বাচনে ভুল করে ও বুকিং সম্পন্ন করে টিকিট ক্রয় করে ফেলে । বেশিরভাগ মানুষ কম মূল্য দেখে এয়ারলাইন্সের বিস্তারিত নির্দেশনা না দেখেই টিকিট ইসু করে ফেলে । আর সেই টিকিট নিয়ে বোর্ডিং কাউন্টারে গিয়ে পড়েন বিপত্তিতে । বিস্তারিত জানার পর ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে লেজ গুটিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন । নন-রিফান্ডেবল ও নন-চেঞ্জএবল টিকিট হওয়ায় অর্থ আর ফেরত পাওয়া যায় না । অন-লাইনে নিজে নিজে টিকিট ক্রয়ের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় ঘটছে এমন অনেক অঘটন । অনেকেই ফ্লাইট মিস করছেন ডিপার্চার সময় না জানার কারনে । আজ আমরা আপনাদেরকে এয়ার টিকিট ক্রয়ের সময় কি কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করবো ।

👍 এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট টাইমিং
👍 এয়ারলাইন্সের ট্রানজিট পয়েন্ট
👍 বোর্ডিং প্রক্রিয়া
👍 ব্যাগেজ পলিসি
👍 এয়ার টিকিটের ক্লাস ও ধরন

💥এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট টাইমিং: প্রতিটি এয়ারলাইন্স সারা বছরের ফ্লাইট শিডিউল ও সময় গ্লোবাল ডিসট্রিবিউশন সিস্টেমে আপডেট করে দেয় । অর্থাৎ কখন ছেড়ে যাবে, যদি ট্রানজিট থাকে তাহলে কতক্ষণ অবস্থান করবে ও কখন গন্তব্য দেশে পৌছাবে সেই সময় সিস্টেম ও টিকিটে উল্লেখ করে দেয় । কোন কারনে সময় পরিবর্তন হলে এয়ারলাইন্স গুলো ফোন কল ও মেইল করে প্রত্যেক যাত্রীকে তথ্য জানিয়ে দেয় । টিকিটে সাধারনত ২৪ ঘন্টা হিসেবে  সময় উল্লেখ করা হয় । তাই ১১:০০ মানে সকাল এগারোটা ও ১৬:০০ মানে বিকাল চারটা । আপনারা  অবশ্যই ফ্লাইটের ৩ ঘন্টা পূর্বে বিমানবন্দরে থাকার চেষ্টা করবেন ও বোর্ডিং সহ বিমানবন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন । দূরবর্তী কোন জেলায় বাড়ি হলে একদিন আগেই বিমানবন্দরের আশেপাশে থাকার চেষ্টা করবেন । পরিবারকে একটু বেশি সময় দিতে গিয়ে ফ্লাইট ছাড়ার কিছু সময় আগে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন না । রাস্তার পরিস্থিতি ও সমস্যার কথা মাথায় রেখে যাত্রা শুরু করবেন । অল্প কিছু অর্থ বাঁচানোর কথা চিন্তা করে ফ্লাইটের আগেই যদি বিমানবন্দরের আশেপাশে অবস্থান না করেন তাহলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে অনেক সময় রাস্তাতেই আপনার সারাদিন চলে যেতে পারে । আর বিমান নিদিষ্ট সময়ে আপনাকে রেখেই চলে যাবে । তাই আপনারা বিষয় গুলোতে সতর্ক হবেন ।
💥এয়ারলাইন্সের ট্রানজিট পয়েন্ট: এভিয়েশন ইনডাস্টির কিছু আলাদা ভাষা আছে । এই ভাষা গুলো না বুঝার কারনে আপনারা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন । স্টপওভার, ট্রানজিট, সেলফ ট্রান্সফার সম্পকে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই টিকিট ক্রয় করেও ফ্লাইট মিস করেন । আমরা আপনাদেরকে বিষয় তিনটি বুঝিয়ে বলছি ।

✌️স্টপওভার: অধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে গিয়ে কিছু এয়ারলাইন্স রি-ফুয়েলিং ও মেইনটেনেন্স করার জন্য অল্প সময়ের বিরতি নিয়ে থাকে । এ সময় যাত্রীরা বিমান থেকে নামার সুযোগ পাবে না । কিন্তু কিছু কিছু স্টপওভারে এয়ারলাইন্স চাইলে নতুন যাত্রী পরিবহন করতে পারে । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্টপওভারে যাত্রী পরিবহন করার সুযোগ থাকে না । যেমন- ঢাকা টু টরন্টো গামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুলে স্টপওভার নিয়ে তারপর আবার ছেড়ে যায় । এই সময় বাংলাদেশ বিমান নতুন কোন যাত্রী পরিবহন করে না । তবে বিমান বাংলাদেশের ঢাকা টু লন্ডন ফ্লাইটটি যেহেতু সিলেটের শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্টপওভার দিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সেহেতু এই ফ্লাইটে বিমান বাংলাদেশ নতুন যাত্রী পরিবহন করে । আর টিকিট গুলো এভাবেই সেল করা হয়ে থাকে ।

✌️ট্রানজিট: প্রতিটি এয়ারলাইন্সের একটি নিদিষ্ট ট্রানজিট হাব থাকে । অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের নামকরা এয়ারলাইন্স গুলো যে কোন দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় নিজ দেশে যাত্রা বিরতি দেয় । ট্রানজিট হাব গুলোতে বেশ কিছু কর্মকান্ড সম্পন্ন হয় । বিশেষ করে যাদের শেষ গন্তব্য থাকে তারা ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যায় । যারা পরবর্তী ফ্লাইটে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে তারা একই এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে পরবর্তী গন্তবের বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করে ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকে । নতুন করে ইমিগ্রেশন ও চেক-ইন ব্যাগেজ সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় না । যারা ১-৮ ঘন্টা ট্রানজিটে টিকিট ক্রয় করেন তারা এয়ারপোর্টে ঘুরে ও কেনাকাটা করে সময় পার করে । তবে ট্রানজিট টাইম বেশি হলে অনেক এয়ারলাইন্স বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা প্রদান করে । অনেকেই ট্রানজিট ভিসা সুবিধা নিয়ে দেশটি ঘুরেও দেখতে পারেন । টিকিট বুকিং করার সময় ট্রানজিট টাইম ভালো করে দেখে নিবেন ও ভিসা লাগবে কিনা তা জেনে নিবেন । বেশি সময় ট্রানজিট নিয়ে ভিন্ন এয়ারলাইন্সের সস্তা টিকিট ক্রয় করবেন না । দিন শেষে বোর্ডিং না দিলে পুরো টাকা লস হবে ।
💥বোর্ডিং প্রক্রিয়া: আপনারা যে এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং করেছেন সেই এয়ারলাইন্সের বোর্ডিং কাউন্টার থেকে আপনার বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করবেন । বোর্ডিং কার্ডে আপনার সিট নাম্বার দেয়া থাকবে ও ব্যাগেজের বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকবে । বোর্ডিং কার্ড হারিয়ে ও ছিড়ে ফেলবেন না । গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত সংগ্রহে রাখুন । কোন কারনে ব্যাগেজ নিয়ে কোন সমস্যা হলে এই কার্ডের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে ।

💥ব্যাগেজ পলিসি: আমরা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে, পড়ালেখা করতে ও কাজ করতে যাওয়ার সময় ব্যাগে বিভিন্ন জিনিসপত্র বহণ করি । প্রতিটি এয়ারলাইন্সের নিদিষ্ট ব্যাগেজ পলিসি রয়েছে । একজন যাত্রী কত কেজি মালামাল বহন করতে পারবে ও কি কি আইটেম নিতে পারবেন তার একটি নির্দেশনা থাকে । আপনারা এই নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিভিন্ন মালামাল পরিবহণ করেন যার ফলে বোর্ডিং কাউন্টারে আপনাদের বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় । ব্যাগের সাইজ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকে । চাইলেই আপনি বস্তায় করে মালামাল নিতে পারবেন না । তাই এয়ারলাইন্সের নির্দেশনা অনুযায়ী নিদিষ্ট পরিমাণে মালামাল পরিবহণ করুন । প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে কেমন ফি আসতে পারে তা জেনে নিন । আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
💥এয়ার টিকিটের ক্লাস ও ধরণ: একটি বিমানে চারটি শ্রেণিতে আসন বিন্যাস করা থাকে । অর্থাৎ একজন যাত্রী তার প্রয়োজন অনুযায়ী চারটি ক্লাসের যে কোন একটিতে টিকিট বুকিং করতে পারে ।

✌️ইকোনমি ক্লাস
✌️প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস
✌️বিজনেস ক্লাস
✌️ফাস্ট ক্লাস (সব এয়ারলাইন্সে থাকে না)

ইকোনমি ক্লাসে সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করে । আর প্রতিটি বিমানে সবচেয়ে বেশি আসন ইকোনমি ক্লাসে বরাদ্দ থাকে । ইকোনমি ক্লাসের টিকিট গুলো ইসু করা আগে একটু রিফান্ড ও রি-ইসু পলিসি দেখে নিবেন । অনেক এয়ারলাইন্স তাদের অব্যবহিত টিকেট গুলো রিফান্ড ও রি-ইসু সুবিধা প্রদান করে না । কম দামে নন-রিফান্ডএবল ও নন-চেঞ্জএবল টিকিট ক্রয় করার ক্ষেত্রে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন । আশা করি আমাদের আলোচনা থেকে আপনারা বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেয়েছেন । আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদেরকে ফোন করতে পারেন ।

হটলাইন:

⏱ 01866-002648
⏱ 01723-479730
⏱ +4915212474661 (Germany)

Email:
riminiedutourbd@gmail.com
korazonberlin@web.de

Post a Comment

Previous Post Next Post